প্রাকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি উপভোগ করার মত দৃশ্য ছিল পাতারচর থেকে এই আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট। তেতুঁলিয়া নদীর রাক্ষসী ছোবলে যা আছ স্বপ্নের বাড়ি-ঘরসহ বিলীনের পথে এ দৃশ্য গুলো ।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা রনগোপালদী ইউনিয়নের পাতারচর থেকে শুরু করে আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটটি এক সময় এই তেতুঁলিয়া নদীর এলাকাটি ছিল অপরূপ সৌন্দর্য ।
আর এখন এই পাতারচর ও আউলিয়াপুর নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের স্বপ্নের ঘর-বাড়িসহ লঞ্চঘাটটি প্রতিদিনই ক্রমশই গ্রাশ করছে এই ক্ষুধার্ত তেতুঁলিয়া নদী। দিনে দিনে ছোট হয়ে আসছে দশমিনা উপজেলার মানচিত্র।
প্রতিনিয়ত সাগরের সৃষ্টি হওয়া ভয়ানক ঢেউ যেন কেরে নেয় বানভাসিদের স্বপ্নের ঘরবাড়ি। যা আজ বিলীন হতে যাচ্ছে রাক্ষুসী তেতুলীয়া নদীর সমুদ্রগর্ভে । খুব শীঘ্রই সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহন না করে তাহলে বিলীন হতে সময় লাগবে না এক সময়কার এবং বর্তমান তিন উপজেলার জনসাধারণে যোগাযোগ ব্যবস্থার দৃষ্টি নন্দন এই লঞ্চঘাটটি।
আরও পড়ুন- ফেসবুকের নতুন চমক !
সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থানরত ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বসবাসকারিরা বলেন, সমুদ্রর বহুদুর পর্যন্ত ছিল এখানকার এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের বসবাস। এখন যেভাবে রাক্ষুসী নদী সমুদ্রের পার ভেঙ্গে নিচ্ছে নদীগর্ভে এভাবে ভাঙতে থাকলে যতটুকু আছে পার তাও খুব অল্প সময়ে বিলীন হয়ে যাবে। এবং ভাঙ্গন চলে যাবে প্রায় দশমিনা-উলানিয়া যাতায়াতরত মেইন সড়ক পর্যন্ত বাংলাদেশের অলংকার দেশরত্ন ও উন্নয়নের রুপকার প্রধানমন্ত্রীর নিকট এলাকাবাসীর আকুল আবেদন খুব দ্রুত এই ভাঙ্গন রোধেন ব্যবস্থা করেন।
এবিষয়ে কথা হলে রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এটি এম আসাদুল হক নাসির সিকদার বলেন, তেতুঁলিয়া নদীর পার্শবর্তী মসৎ ব্যবসায়ী ও বসবাসরত এলাকাবাসীরা নদী ভাঙ্গনে খুব আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, সৈকতে থাকা প্রচন্ড ঢেউ (তুফান) থাকার কারনে এখন হুমকির মুখে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, পাতারচর থেকে শুরু করে লঞ্চঘাট পর্যন্ত নদীতে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে আমাদের বাড়িঘর গুলো তাই এই ভাঙ্গন রোধ করার দাবি নিয়ে এখনো আশার স্বপ্ন দেখছি আমরা এলাকাবাসী।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী মোঃ আরিফুর রহমান জানান, এব্যপারে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন এর সাথে কথা হয়েছে , তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা নিবেন।
এবিষয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য পটুয়াখালী (১১৩) দশমিনা গলাচিপা (৩) আসনের এসএম শাহাজাদা (এমপি) জানানা, নদী বেষ্টনী উপজেলা এবং ইউনিয়নের পর্যায়ে বর্তমান সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যান্ত আন্তরিক, তার নির্দশে ইতিমধ্যে ভেরীবাধঁ প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। আমিও আশা বাদী, ইনশাহ্ আল্লাহ্, অতি শিঘ্রই আমাদের অবহেলীত বানভাসি মানুষের স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে জীবনযাপন করতে পারবে এবং টিকে থাকবে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা।