ভুয়া ও জাল সনদ জমা দিয়ে চাকরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরগুনার আমতলী উপজেলাধীন আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজের বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সরকারি অর্থ অবৈধ ভাবে আত্মসাৎ কারী ভুয়া শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত (২২ মার্চ) একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সোনাখালী গ্রামের মৃত্যু রুস্তুম আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ আবু সালেহ।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, জাহিদুল ইসলামের শিক্ষা জীবনে এসএসসি হতে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত কৃষি বিষয়ে লেখাপড়ার কোন সনদ পত্র না থাকা সত্ত্বেও গত (৩০ ডিসেম্বর ২০০৪) ইংরেজি তারিখে উত্তর কালামপুর (কালিবাড়ী) নূরানী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আলাউদ্দিন সিকদারের সাথে অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) শূন্য পদে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে জাহিদুল ইসলামকে কৃষি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করান। জাহিদুল ইসলাম ভুয়া কৃষি বিষয়ক সার্টিফিকেট দিয়ে গত (১ জানুয়ারি ২০০৫) ইংরেজি তারিখে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে যোগদান করেন। অভিযোগকারী আবু সালেহ অভিযোগ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, জাহিদুল ইসলাম জালিয়াতী করে কৃষি বিষয়ক সার্টফিকেট সংগ্রহ করে চাকুরী করছেন।সোনাখালীর এক প্রভাবশালী সরকারী কর্মকর্তার সহযোগিতায় জাহিদুল ইসলাম একের পর এক অনিয়ম দুণীতি করলেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। আমি জাহিদুল ইসলামের অনিয়ম দুনীতির বিচার চাই। এ বিষয় অভিযুক্ত শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বির রশিদ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাল সার্টফিকেটধারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম উত্তর কালামপুর কালিবাড়ী নূরানী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার অনাপত্তিপত্র/অভিজ্ঞতা সনদ নিয়ে গত (১১ অক্টোবর ২০১৫) তারিখে উত্তর সোনাখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেন এবং উক্ত পদে যোগদান করে অদ্যবদি তিনি বহাল তবিয়তে চাকুরী করে আসছেন।