পটুয়াখালীর গলাচিপায় গৃহবধু রুমানা আক্তারকে (১৯) শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে শাশুড়ী, দেবর ও ননদকে গ্রেফতার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ।
অদ্য ৩০ মার্চ খ্রিস্টাব্দে দুপুর ০১:০০ ঘটিকার সময় গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর অফিস রুমে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। তিনি প্রেসব্রিফিংয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার জানান, দশমিনা উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম আলীপুরা গ্রামে বসবাসরত মৃত্য গৃহবধুর মা সাজেদা বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় বুধবার দুপুরে মেয়ের স্বামী মো. বেল্লাল হাওলাদার (২৮), শ্বশুর মো. শহিদুল হাওলাদার, শ্বাশুড়ী ঝরনা বেগম, দেবর টিপু ফেরদাউস ও ননদ সীমা বেগমসহ আরও অজ্ঞাত ৩ জনের নাম উল্লেখ করে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
মৃত্য গৃহবধুর মা মোসাঃ সাজেদা বেগম এজাহারে অভিযোগ করেন, এক বুক স্বপ্ন নিয়ে গত ৩ মাস আগে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক মোঃ বেল্লাল হাওলাদারের সাথে বিবাহে আবদ্ব হয় মৃত্যু রুমানা বেগম। বিবাহের পর থেকে মৃত্য গৃহবধুর স্বামী, শ্বশুড়, ,শাশুড়ী ননদ ও দেবর সহ সকলে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খারাপ আচরন সহ মারধরও করতো। ২৯ মার্চ, ২০২২ তারিখ ঘটনার দিন সন্ধা অনুমান ০৫টা ৩০ মিনিটের পরে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি এজাহারে আরও উলেখ্য করেন, ঘটনার দিন সন্ধা অনুমান ০৬টা ৩০ মিনিটের দিকে মেয়ের জামাই মোঃ বেল্লাল হাওলাদার মোবাইল ফোনে মেয়ের অসুস্থ্যতার খবর এবং তাকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান। দশমিনা উপজেলা থেকে দ্রুত জরুরী বিভাগে এসেও মেয়ের জীবিত মুখটি দেখতে পায়নি মা। এবং মেয়ের লাশের পাশে দেখা মেলেনি মেয়ের জামাতা সহ তার পরিবারের কাইকে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মৃত্য গৃহবধুর শাশুড়ী মোসাঃ ঝর্না বেগম, ননদ সীমা বেগম ও দেবর মোঃ টিটু ফেরদাউস। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।