বরগুনায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি মণ্ডলীর প্রেসিডিম সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন।
শুক্রবার সন্ধার দিকে বরগুনা সদর থানায় তিনি এ জিডিটি দায়ের করেন।
জিডি সূত্রে জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেই। রাত ৯টার দিকে সভাটি শেষ হলে স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর কার্যালয়ে চা চক্রে মিলিত হই। পরে বামনার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত ১০টার দিকে বড়ইতলা ফেরিতে উঠি। ফেরিতে ওঠার পর ১৫ থেকে ২০ জন আমার গাড়ির আশপাশে সন্দেহ জনক ভাবে ঘোরাফেরা করেন এবং আমার গাড়ি আক্রমণের চেষ্টা চালান। আমার সঙ্গে থাকা ছেলেরা তাঁদের অনেককে চিনে ফেলায় তাঁরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। আমার ধারণা, তাঁরা আমাকে হত্যার জন্য আক্রমণ করতে এসেছিল। তাঁদের গতিবিধি দেখে এমনটা মনে হয়।
এ জিডিতে অভিযুক্তরা হলেন, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাসিম, উপ-শিক্ষা ও পাঠ চক্র বিষয়ক সম্পাদক সুমন রায়, সদস্য গোলাম রাব্বানি, ঢলুয়া ইউনিয়ন সভাপতি কামরুল, কর্মী শাজনুস শরীফ, ইমরান হোসেন, মুন্না, জুয়েল, মেহেদী, মো. সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজাপুরে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাসিম বলেন, এসবের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তাছাড়া আমি তো যুব সমাবেশের আশপাশেও ছিলাম না। বড়ইতলা ফেরিঘাট এলাকায় কোনো সিসিটিভি থাকলে তা চেক করলেই প্রমান হবে আমি সেখানে ছিলাম কি না।
অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের উপশিক্ষা ও পাঠ চক্র বিষয়ক সম্পাদক সুমন রায় বলেন, যুব সমাবেশের দিন আমি বরিশালে ছিলাম। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এবিষয়ে জিডির বাদী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার বলেন, অনুমোদিত বরগুনা জেলা যুবলীগের কমিটিতে আমরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিককে সাধারণ সম্পাদক বানাতে পারিনি। এ নিয়ে আমার প্রতি তার ক্ষোভ আছে। অনিকের ধারণা, আমি কমিটি দিয়েছি এটি নিয়ে অনিক আমাকে আজে বাজে মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন,ওই ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে এমপি শম্ভু দাদার কাছ থেকে বামনা আমার নিজ বাড়িতে রওনা হই। ফেরিঘাটে পৌঁছাইতেই সেখানে ফেরির মধ্যে আমার গাড়ির আশপাশে সন্দেহ জনকভাবে ১৫/২০ জন পোলাপানকে দেখতে পাই। এসময়ে আমাদের সঙ্গে পাথরঘাটা থানা পুলিশের একটি পিকআপ থাকায় তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। আমার ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় জিডি করেছি। এ ছাড়া বিষয়টি এমপি শম্ভু দাদা ও পুলিশ সুপারকে জানালে তাঁরা জিডি করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাবু সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার ১০ জনের নাম উল্লেখ করে গত শুক্রবার সন্ধায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন। জিডির তদন্ত করে সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।