ঝালকাঠির রাজাপুরে ব্যবসায়ী মো. ফারুক হাওলাদার (৩৫) কে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার সাতুরিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। ফারুক উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মৃত আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে ও ঢাকা-ভান্ডরিয়া গামী জুবরাজ-৭ লঞ্চের খাবারের হোটেল ব্যবসায়ী।
আটককৃতরা হলো উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মো. মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মো. নাঈম হোসেন (৩৫), মো. হুমায়ুন কাজীর ছেলে মো. রিক্সন (৩৪)।
আরও পড়ুন- ঝালকাঠি জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত
আহত ফারুক হাওলাদারের ভাই আব্দুর রহিম জানায়, বুধবার বিকালে তার ভাই ফারুক বাড়ি থেকে বের হলে সাতুরিয়া ইঁদুরবাড়ি টাওয়ারের কাছাকাছি আসে। এ সময় হঠাৎ দুইটি ইজিবাইক ও তিনটি মটোরসাইকেল যোগে নাঈম, রিক্সন, দেলোয়ার, বাবুসহ ১৭/১৮ জনের একটি দল এসে দেশিও অস্ত্র দাও, রামদা, চাপাডি দিয়ে ফারুককে এলোপ্যাথারি কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করে।
স্থানীয়রা আহত ফারুককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাতে পাঠায়। সেখানে ফারুকে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা নেয়া হয়।
আরও পড়ুন- ঝালকাঠিতে নিষিদ্ধ ঔষধ রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ; ১ বছরের জেল
আব্দুর রহিম আরো জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই হামলা। ফারুক সাতুরিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিকুর রহমানের নির্বাচন করায় বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ মাইনুল হায়দার নিপুর তার লোক দিয়ে এই হামলা চালায়। হামলাকারীরা নিপুর চেয়ারম্যানের কাছের লোক তারা সব সময় চেয়ারম্যানের সাথেই থাকে।
সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মাইনুল হায়দার নিপু অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কারা হামলা কলেছে সে ব্যাপারে আমার জানানাই। ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আপরাধীর শাস্তি হোক আমিও চায়।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আহতের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।