March 17, 2025, 11:44 am
শিরোনাম :
গলাচিপার ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি গলাচিপায় ইউএনও এবং খাদ্য কর্মকর্তা অপসারণের দাবিতে পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল গলাচিপায় গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল গলাচিপার আমখোলার ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার ঢাকাস্থ চালিতাবুনিয়া সমিতি উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খুটির জোর কোথায়? ফিল্মি স্টাইলে স্কুল শিক্ষিকা থেকে মেয়র, কে এই জাকিয়া চিকিৎসকের অবহেলায় গলাচিপায় নবজাতকের মৃত্যু গলাচিপায় ৭ম জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

বরগুনায় প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়

তরিকুল ইসলাম রতন, বরগুনাঃ-
ইলিশ মাছ

বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজারে ডালা সাজিয়ে প্রতি কেজি ইলিশ ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলার সবগুলো মাছ বাজারে চাহিদা অনুযায়ী মাছ থাকা সত্বেও ক্রেতা সংকটে দাম কমেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

বুধবার সকালে বরগুনা সদরের মাছ বাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতা কম থাকার কারণে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

এতে প্রত্যেক কেজিতে (৫-৬) টি, ৪৫০ টাকায় ( ৩) টি করে, বড় ইলিশ ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ১২০০ টাকায় ও ১ কেজি ৫০০গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি দরে। যা অন্য সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ২০০ টাকা কম। ছোট ইলিশ মাছ গুলো বেশি দামে ক্রয় করে খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করায় মাছের গুণগত মান নিয়ে শঙ্কায় আছেন ক্রেতারা।

বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজারের খুচরা ইলিশ বিক্রেতারা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ থাকার কারণে দাম কিছুটা কম। গত সপ্তাহের তুলনায় ছোট ইলিশের দাম কম। তবে বড় ইলিশের দাম একই রয়েছে বলে জানান।

বিক্রেতা বলেন, আমি বরগুনা স্থানীয় পাইকারি বাজারের ১৭০ থেকে ১৮০ গ্রাম ওজনের ছোট ২০ কেজি ইলিশ পাইকারি গড়ে ৩৫০ টাকা দরে ক্রয় করে বাজারের ৩৫০ টাকায় খুচরা বিক্রি করছি। ক্রেতা কম থাকার কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের সাথে তাল মিলিয়ে মাছ বিক্রি করতে গিয়ে সমান সমান থাকতেও কষ্ট হবে।

বরগুনা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ বলেন, বাজারে মাছের গুণগতমান পরীক্ষা করার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করেছি। বিষয়টি আমরা শুনেছি তদন্ত করে দেখব মাছের গুণগতমান কেমন। প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব তাদের বিরুদ্ধে।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাযালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলার ৩৭ হাজার ৯০৩ জন জেলে জাটকা নিধন নিষেধাজ্ঞার সময় ২০ কেজি চাল সহায়তা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিচালক বিএন বাংলাদেশ নৌবাহিনী লেফটেন্যান্ট এম লুৎফর রহমান তিনি বলেন,গত মাসের শেষের দিকে সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। তাই ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর ইলিশের দাম কম।

এবিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব যুগান্তরকে বলেন, নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরায় সরকারের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারণে দিন দিন সকল প্রজাতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী,নিষেধাজ্ঞাকালীন জাটকা ধরা,সংরক্ষণ,পরিবহন, বিপণন দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অনুযায়ী দশ ইঞ্চি আকৃতির ইলিশ জাটকা হিসেবে গণ্য করা হয়।

এ সময়ে যাঁরা জাটকা আহরণ, বিপণন, পরিবহন করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করার কারণেই জেলেরা বিরত থাকছে। সরকারের আইন মেনে মাছ স্বীকার করলে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা