পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীতে ব্রীজ নির্মান কাজ চলছে। ব্রীজের দুই পাসে নাব্যতা সংকট ও নির্মিত ব্রীজের মাঝ খানে বসানো হয়েছে চকির উপর বেলি ঢালাই কাজের জন্য পিলার ফলে আটকে যায় নৌ- রুট।
এতে চরম দুর্ভোগে পরছে এই রুটের সাধারন যাত্রীরা। এছারাও এই রুট দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছোট বড় মাল বাহী কার্গ জাহাজ আটকে পরায় চরম ভোগান্তিতে এই উপজেলা ব্যবসায়িরা।
গলাচিপা রুটে নিয়মিত চলাচল করা সাধারন যাত্রীরা জানান, এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নানা সমেস্যার সম্মূখিন হচ্ছেন এই রুটের যাত্রীরা।
একদিকে যেমন গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া তেমনি অনন্য লাইনের লঞ্চগুলোতে সিট না পাওয়ায় জিবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করতে হচ্ছে লঞ্চের ছাদে।
গলাচিপার সাধারন ব্যবসায়ীরা জানান, ঝালোকাঠি, বরিশাল, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কার্গো কিংবা পন্যবাহী জাহাজে করে সব ধরনের মালামাল পরিবহন করা হতো এই রুট দিয়ে।
বর্তমানে পটুযাখালী লোহালিয়া ব্রীজের কাজ চলমান থাকায় নৌ চলাচলের পথ অবরুদ্ধ হয়ে পরায় বারতি খরচ দিয়ে পরিবহন করতে হচ্ছে মালামাল যার প্রভাব পরছে ক্রেতাদের উপর। তাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রæত হস্থক্ষেপের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন এই নৌ-পথ নদীর একপাস দিয়ে সচল সচল রাখার ব্যবস্থা গ্রহন হোক।
আরও পড়ুন- গলাচিপায় গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় স্বামীসহ গ্রেফতার ৪
আসা যাওয়া-১ লঞ্চের মাষ্টার আব্দুর রহিম জানান, নদীর ন্যাব্যতা সংকট থাকায় ধরান্দীর পরপরেই গলাচিপা তারমিনাল ঘাট পর্যন্ত দোতালা লঞ্চগুলো প্রতিনিয়ত ছোট ছোট একাধিক ডুবোচরে আটকে পরে। যেটুকো নদীর গভীরতা রয়েছে তা শুধু নিয়মিত লঞ্চ চলাচলের কারনে। এর মধ্যে যদি এই রুটে সাময়িক ভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পুরো নদী চর পরে বিলিন হয়ে যাবে এই রুটের নদীপথ।
কার্গ মালিকদের অভিযোগ ধরান্দী, কলাগাছিয়া, চিকনিকান্দি, আমখোলা, গলাচিপা, কলাপাড়া মহিপুর পায়রা বন্দর সহ দক্ষিন অঞ্চলের বিভিন্ন রুটে মালবাহী কার্গোগুলো এই রুট দিয়ে যাতায়ত করে আসছিলো বর্তমানে নদীপথ বন্ধ থাকায় অনেকটা বিপাকে পরেছেন তারা ।
সংশ্লিষ্ট ব্রীজ নির্মান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানাগেছে, ব্রীজের এই নির্মান কাজ শেষ হতে প্রায় তিনমাস লাগতে পারে।
আরও পড়ুন – প্রেমের বিয়ে: দেড় বছরের মাথায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
তারমিনাল ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবলে জানাযায়, চলতি বছর ইজারা নেয়ার পর কভিড- ১৯এর কারনে একমাস তিনদিন নৌ- চলাচল বন্ধ থাকে এতে অনেকটা আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন। আসছে পবিত্র মাহে রমজান এর পর যদি ব্রীজ নির্মানের কারনে তিন মাস নৌ- রুট বন্ধ থাকে তাহলে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ অর্ধেক পরিমানের বেশি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
এ বিষয় পটুয়াখালী বি,আই,ডবøুটিআই উপ-পরিচালক মোঃ মহিউদ্দন আহম্মদ জানান, নৌ- মন্ত্রনালয় সচিব বরা চিঠি দিয়েছে বিআই ডবøুটিএ, এলজিডি, সহ সংশ্লিষ্ঠ সবাইকে সরজমিনে পরিদর্শন করে নৌ- চলাচল অব্যহত রেখে ব্রিজের কাজ নির্মান করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।