পটুয়াখালীর গলাচিপায় ২০ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে বশির মীর (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত বশির হল উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব আটখালী গ্রামের মৃত খোরশেদ মীর এর ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় ধর্ষণের শিকার যুবতী নিজে বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই আসামীকে গ্রেফতার করে গলাচিপা থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন- কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ সহ পাচারকারী আটক
মামলার তথ্য বিবরণীতে জানা যায়, অনেক পূর্বে ধর্ষণের শিকার যুবতীর কাছ থেকে বশির মীর ৫ শত টাকা ধার নেয়। তারই সূত্র ধরে গত ১০ অক্টোবর রাত্র ৯ টায় পুকুর পাড়ে পানি আনতে গেলে ধারের টাকা দেওয়ার কথা বলে তাদের বসত ঘরের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে ধরে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত মেলামেশা করতে থাকে। বর্তমানে তাকে বিয়ে করার কথা বলা হলে সে বিবাহ করিতে অস্বীকার করায় ওই যুবতী থানায় মামলা করেন।
সরজমিনে জানা যায় ডাকুয়া ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডে বিবাহ ভেঙ্গে দেয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। আহত আবুল বশার মীর গলাচিপা থানায় ২ ডিসেম্বর অভিযোগ করেন যাহার মামলা নম্বর ০৪/২০। মামলার আলোকে স্থানীয় গণ্যমান্য, সমাজ কর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গন বিরোধের সমাধান করতে সালিশ বৈঠকে বসেন। ঐ বৈঠকে উভয় পক্ষই জনসম্মুখে বিরোধের বিষয় নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। মারামারি মামলার আসামী মোঃ শামিম এর বোনের সাথে বাদী আবুল বসার মীর বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কের কারেন অন্যত্রে বিয়ের প্রস্তাব আসলে ভেঙে দেওয়া হত বলে জানা জায়।
এ বিষয়ে প্রেমিকার বড় ভাই মোঃ শামীম মীর জানান” আমার ছোট বোনের সাথে পাশের ঘরের আত্মীয় আবুল বসার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে। কিছু দিন পূর্বে গোপনে অন্যত্রে বিয়ে করেছে। বোনের বিয়ের জন্য একাধিক প্রস্তাব আসলে বিভিন্ন কৌশলে ভেঙে দিত। বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা জানতে চাইলে কথার কাটাকাটি হয় এবং মামলা করে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাধান করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়েছে। বোনের গোপন সম্পর্কের কথা সন্মান ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বাড়ির মধ্যে রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু ওদের অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অভিযোগ করতে সন্মত হয়েছি”।
সংশ্লিষ্ট সংরক্ষীত মহিলা ইউ পি সদস্য বলেন ” মারামারি ঘটনার সমাধান করতে গিয়ে প্রেম সংক্রান্ত তথ্য শারীরিক সম্পর্কের সত্যতা পাওয়ায় সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটন করে কঠোর বিচার করা দরকার”।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষক বশিরকে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।