বরগুনার জেলায় প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা অধিক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নদীতীরের বাসিন্দারা বলেছেন নদীতে ইতোমধ্যেই স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত ৬ থেকে ৭ ফুট পানি বেড়েছে।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন বিষখালী নদীর তীরের বাসিন্দা হারুন নজির বলেন, স্বাভাবিকের তুলনায় নদীতে অনেক পানি বেড়েছে। আর একটু পানি বৃদ্ধি পেলেই আমাদের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যাবে।
বরগুনার বাইনচটকি ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, বিষখালী নদীর এই এলাকায় জোয়ারের পানি এতটাই বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে ফেরির গ্যাংওয়েসহ সংযোগ সড়ক তলিয়ে গেছে। জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের থেকে ৬ থেকে ৭ ফুট বেশি না হলে এখানে সাধারণত পানি ওঠে না।
বরগুনার তালতলী উপজেলার বগি এলাকার বেল্লাল মিলন বলেন, পায়রা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ শুরু হয়েছে, সেই সঙ্গে জোয়ারের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। এই উচ্চতা বেড়েই চলছে। পানির উচ্চতা এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে এই এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে বেশি সময় লাগবে না।
এব্যাপারে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, আজ (বুধবার) সকাল ৯টায় বরগুনায় জোয়ারের উচ্চতা ছিল ২.৮৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার সমান সমান। আর এক ঘণ্টার ব্যবধানে সকাল ১০টায় বরগুনায় জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে ৩.১০ সেন্টিমিটার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে বরগুনার প্রধান তিনটি নদীতে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সুপার সাইক্লোন আম্ফানের বিষয়ে বরগুনার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর আগেই আমাদের সতর্ক করেছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সকলেই সতর্ক থাকবেন এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের দিক নির্দেশনা সকলেই মেনে চলবেন।