দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে এলাকা ভেদে ৫ থেকে ৬ টাকা। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় হাটবাজারে ভারতীয় পেঁয়াজেরও সংকট দেখা দিয়েছে। একারণে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বাড়ার কারণে দাম বেড়েছে এমন কথা বলছেন স্থানীয় ব্যবসায়িরা।
গতকাল শনিবার সকালে ফুলবাড়ী পৌরবাজারের সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা দোকানে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ২৮ থেকে ৩০ টাকা। যা গত শুক্রবার (৩ জুন) পর্যন্ত খুচরা বাজারে পেঁয়াজের বেচাবিক্রি হয়েছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। দাম বাড়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ।
আরও পড়ুন- বোরো ধান কাটতে বাড়তি খরচ, হাসি নেই ফুলবাড়ীর কৃষকের মুখে
ফুলবাড়ী পৌর বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী মোকসেদুল সরকার বলেন, বাজারে সব খাদ্যপণ্যের দাম বেশি। প্রত্যেকদিন কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে।
চাল, ডাল, আলু, ডিম, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যের দাম অনেক বেশি। যার কারণে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের খুব সমস্যা হচ্ছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হলে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হতো। এ জন্য উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
ফুলবাড়ী পৌরবাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা সুব্রত সরকার ও শ্যামল চন্দ্র বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর রয়েছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে না থাকার কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কমে যাবে। তবে দাম বাড়ার কারণে আগের মতো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- সাবেক এমপি মোহাম্মদ শোয়েব বাবুলের মরদেহ উদ্ধার
ফুলবাড়ী পৌরবাজারের পেঁয়াজের পাইকার ব্যবসায়ি কালুকান্ত দত্ত ও আমজাদ হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দেশি পেঁয়াজ সংগ্রহ করে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে না থাকার করণে দেশি পেঁয়াজের টান পড়ায় দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে গেছে।
হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমানি-রপ্তানিকারক গ্রæপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, দেশের পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। তবে বাংলাদেশ সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। সামনে পবিত্র কোরবানির ঈদ। এই ঈদে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। সরকার অনুমতি দিলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবেন আমদানিকারকরা। এতে পেঁয়াজের দামও কমে আসবে। আর আমদানি বন্ধ থাকলে সরববাহ সংকটের কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও বৃদ্ধি পাবার শঙ্কা থেকে যাবে।