ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা-বীষখালী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, খাদ্যে ভেজাল, টিসিবি পন্য বিক্রিতে অনিয়ম বা সরকার নিষিদ্ধ সময় কালে জাটকা ইলিশ শিকারসহ পাচারের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা প্রশাসন রহস্য জনক ভাবে নিরব ভূমিকা পালন করতো ।
কালে-ভদ্রে দু’এক দিন জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত ছোটখাটো বেকারী, হোটেল-রেষ্টুডেন্ট ও তামাকজাত পণ্য সংক্রান্ত খুটিনাটি অভিযান পরিচালনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। স্থানীয় প্রধান দুটি নদীর তীরবর্তী বাসিন্ধারা অবৈধ বালুখেকো ড্রেজার মালিক সিন্ডিকেটের অর্থলোভের শিকার হয়ে ভিটামাটি হারানো কিংবা ভেজাল খাদ্য, ওষুধসহ টিসিবির পন্য বিক্রিতে অনিয়ম-দূর্নীতির ঘটনায় বার বার লিখিত অভিযোগ করলেও অজ্ঞাত কারনে কোন ব্যবস্থাই নিতোনা জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
তাছাড়া অবৈধ বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ নদীর তীরবর্তী বাসিন্ধারা লিখিত অভিযোগ করলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদ প্রকাশ হলেও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা থাকতো বহাল তবিয়তে। এ অবস্থায় ঝালকাঠী জেলা প্রশাসনে যোগদানের মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে তিনটি অভিযান চালিয়ে পরিবেশ ও জনবিরোধী অবৈধ বালুখেকো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭লাখ টাকা জড়িমানা আদায়সহ মুচলেকা গ্রহন, খাদ্যে ভেজাল ও টিসিবি পন্য বিক্রয়ে অনিয়ম প্রতিরোধে কঠোর ভুমিকা নেন আরডিসি মোঃ বশির গাজী।
আরও পড়ুন- ৭ ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণের স্বীকৃতি – আমির হোসেন আমু
সম্প্রতি জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়কালে জাটকা পরিবহনসহ পাচারের বিরুদ্ধে তিনদফা অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫মন জাটকা ইলিশ জব্দসহ লক্ষাধিক টাকা অর্থদন্ড করে স্থানীয় সর্বস্থরের মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তোলেন তিনি। এর বাইরে স্থানীয় বাসিন্দারা যেকোন বিষয়ে তার কাছে গেলে সৎপরামর্শ ও সার্বিক সহায়তাসহ দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষের সাথে আন্তরিকতা পূর্ন ব্যবহারে প্রশংসিত ছিলেন আরডিসি মোঃ বশির গাজী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বালুসিন্ডিকেট’র সদস্য জানান, ফুট প্রতি ০.০৫ টাকা করে উৎকোচ দিয়ে আসছিল তাঁরা।
পটুয়াখালীতে র্যাবের হাতে ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেফতার
পটুয়াখালীতে ৩০ লক্ষ টাকার রেনু পোনা জব্দ, ১ জনকে জরিমানা
গলাচিপায় ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার জালনোটসহ এক যুবক গ্রেফতার