আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে তাদের লবিং ততই জোড়ালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। গলাচিপা ও দশমিনা এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের ঊর্বর ভূমি। তবে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের নির্বাচন হবে এমনটাই মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষক এবং সাধারণ জনগণ। তাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শেখ হাসিনা সরকারের বিস্ময়কর ও অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র বিভিন্ন প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে জনসম্মুখে তুলে ধরছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সর্বমহলে এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নে দীর্ঘ ২৫ বছর সুনামের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের (ইউপি চেয়ারম্যান) দায়িত্ব পালনকারী এবং বৃহত্তর গলাচিপা থানা (গলাচিপা-দশমিনা-রাঙ্গাবালী) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মরহুম সামছুল হক হাওলাদারের সুযোগ্য ছেলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন। তিনি সাবেক বিজিবির মহাপরিচালক এবং রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব। গত এক বছর ধরে কর্মীবান্ধব এই নেতা গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জে গণসংযোগ ও পথসভা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে আর্থিক অনুদান, গরিব-অসহায়দের আর্থিক সহায়তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে শীর্ষে রয়েছেন আবুল হোসেন- এমনটাই বলছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ অনেক নেতা। ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-সম্পাদকের সন্তানরা। এ ছাড়াও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত প্রথম সারির অনেক নেতা। এটা তাঁর জন্য বড় প্রাপ্তি। তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সকলের কাছে নৌকার ভোট চাচ্ছেন।
এ বিষয়ে গলাচিপা শহরের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবু শ্যামল কর্মকার বলেন, ‘এখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজ অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন। দলীয় গ্রæপিংয়ের অবসান করতে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের তথা নৌকার হাল ধরতে আবুল হোসেনের প্রয়োজন। তিনি আমাদের এই অঞ্চলের গর্ব। তাঁর মতো একজন সৎ, দক্ষ, অভিজ্ঞ, কর্মীবান্ধব ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী নেতাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। আর আমরা ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণ নিরাপদে থাকব।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মূল শক্তিই হচ্ছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। তাই তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে আমাদের সকলকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। দেশের সব উন্নয়নই আজ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবদান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ৩৮তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে আছি। মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা কেউই নই। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই দলের পক্ষে সর্বদা কাজ করবো এই প্রত্যাশা নিয়ে নৌকার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি।