বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা গ্রামের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক খলিল আকন্দ (৩২) পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এবিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবেক সরকার এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার অভিযুক্ত ধর্ষক ও কিশোরীকে তার দপ্তরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর কিশোরীর মা বামনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে যানা যায়, বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের আলতাফ আকনের ছেলে খলিল আকন (৩২) পার্শবর্তী রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা গ্রামের ১০ম শ্রেনীতে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে তিন দিন আগে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর মা তার মেয়েকে অনেক খোঁজা- খুঁজি করে না পেয়ে বামনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন- শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা, বাদীকে খুনের হুমকিতে সংবাদ সম্মেলন
পরে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষকের বাড়ি গিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে ধর্ষকের পরিবার গত সোমবার ধর্ষিতা কিশোরীকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম স্বপনের মাধ্যমে তার পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেন।
এতে কিশোরীর অসহায় পরিবার ধর্ষনের বিচার না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মঙ্গলবার একটি লিখিত আবেদন করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম স্বপন বলেন,কিশোরী মেয়ে আমাকে বলেছে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবেক সরকার বলেন,এ ধর্ষনের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এবিষয়ে আমি তাদের দুই পক্ষকে ডেকেছি। আগামী দুই এক দিনের ভিতরে জানা যাবে। আসলে ঘটনা কি হয়েছে।
আরও পড়ুন- ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার, আটক ২