বিশ্বের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপ্পো (OPPO)। স্মার্টফোন জগতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত একের পর এক নতুন ডিজাইনের হ্যান্ডসেট বাজারে নিয়ে এসে চমক দিয়েছে চিনের অন্যতম এই জনপ্রিয় কোম্পানিটি।
জনপ্রিয় কোম্পানি অপ্পো ( OPPO) সম্পর্কেই আমাদের অনেক অজানা তথ্য রয়েছে, যা আপনারা অনেকেই জানেন না।
জেনে নিন অপ্পো (OPPO) কোম্পানির পাঁচটি অজানা তথ্য…
জনপ্রিয় কোম্পানি অপ্পো (OPPO) স্মার্টফোন জগতে আসার আগে কী করত ?
বিশ্বের জনপ্রিয় স্মার্টফোন কোম্পানি অপ্পো (OPPO) চিনের গুয়ান্ডোং প্রদেশে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন টনি চেন। এই কোম্পানিটি শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে হাই-এন্ড ব্লু রে প্লেয়ার তৈরি করতো। এর পর সাফল্যের পরে হাই-ফাই হেডসেট, MP3/MP4 প্লেয়ার তৈরি করে। এবং একাধিক বার পুরস্কার জিতে নেয় । কোম্পানিটি ২০০৮ সালে প্রথম লঞ্চিং করে A103 মডেলের স্মাইলি ফেস মোবাইল ফোন ।
অন্যান্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে গাঁটছড়া–
জনপ্রিয় স্মার্টফোন কোম্পানিটি ল্যাম্বোরগিনি, ডাইনঅডিও, লিগ অফ লেজেন্ডস, মহম্মদ সালাহর মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে অপ্পো (OPPO) । অপ্পো (OPPO) এখন এশিয়ার একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড, যারা ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডনের মতো বিশ্বমানের টেনিস টুর্নামেন্ট স্পনসর করেছে।
আরও পড়ুন- কোন কোন ভ্যাকসিন গ্রহীতা কতটি দেশে যেতে পারবেন
এছাড়াও, বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের সমর্থকদের জন্য কোম্পানির তরফে তৈরি করা হয়েছে স্পেশ্যাল এডিশন মোবাইল ফোন। কোম্পানির বিজ্ঞাপনে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং এডি রেডমেইনের মতো হলিউড তারকাদেরও দেখা গিয়েছে।
কোম্পানির উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি–
বিশ্ব বাজারের মোবাইল দুনিয়ার শীর্ষে থাকাই অপ্পো (OPPO)-র প্রধান লক্ষ্য। স্মার্টফোন ক্যামেরার দুনিয়ায় একের পর এক নতুন প্রযুক্তি বাজারে এনে গ্রাহকদের মন কেরে নিয়েছিল চিনের কোম্পানিটি। প্রথম 10x হাইব্রিড জুমের মোবাইল ক্যামেরা তৈরি করেছিল অপ্পো (OPPO)।
এছাড়াও, রোটেটিং ক্যামেরা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে বিউটিফিকেশন মোড, সম্পূর্ণ লুকানো থ্রিডি ক্যামেরা ও বিশ্বের প্রথম ডিসপ্লের নীচে ক্যামেরা বা আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরা স্মার্টফোন তৈরি করার কৃতিত্ব রয়েছে Oppo-র।
কোম্পানির ৬৫,০০০ পেটেন্ট–
স্মার্টফোন পেটেন্টের নিরিখে অন্যান্য কোম্পানির থেকে অনেকটাই এগিয়ে OPPO। কোম্পানির নামে রয়েছে ৬৫,০০০ এর বেশি পেটেন্ট, যা কোম্পানির নিরন্তর উদ্ভাবনী মানসিকতার প্রমাণ।
বার্ষিক গ্লোবাল টেকনোলজি কনভেনশন–
প্রত্যেক বছর অপ্পো (OPPO) তার নিজস্ব গ্লোবাল টেকনোলজি কনভেনশন আয়োজন করে। সেখানে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সঙ্গে বিশ্ববাসীর পরিচয় করানো হয়। ২০১৯ সালে প্রথম এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ইভেন্টেই কোম্পানির অগমেন্টেড রিয়্যালিটি গ্লাস ও অন্যান্য গ্যাজেটস প্রকাশ্যে নিয়ে আসে কোম্পানি।
প্রথম দিন থেকেই অপ্পো (OPPO)-র যাত্রা অন্যান্য কোম্পানির থেকে অনেকটা আলাদা। কোম্পানির চিন্তাধারার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উদ্ভাবনী মানসিকতার মাধ্যমে গ্রাহককে আরও ভালো অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়া। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা টনি চেন বলেছিলেন, ‘মানুষের হাতে আরও ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে অপ্পো (OPPO), যা মানুষকে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে ও জীবনযাত্রার আরও উন্নতি করতে সাহায্য করবে।’