October 7, 2024, 1:39 am
শিরোনাম :

আজ রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দের ১২৩ তম জন্মবার্ষিকী

আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৩ তম শুভ জন্মবার্ষিকী

আজ ১৭ ই ফেব্রুয়ারী ২০২২, রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৩ তম শুভ জন্মবার্ষিকী। জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক।

তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের বামনখান গ্রামের দাশ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ‘ব্রহ্মবাদী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি পেশায় ছিলেন কবি ঔপন্যাসিক গল্পকার প্রাবন্ধিক দার্শনিক গীতিকার সম্পাদক অধ্যাপক, তাঁর বহু লিখনির মধ্যে রয়েছে ঝালকাঠি রাজাপুরর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিখ্যাত ধানসিঁড়ি নদী।

এই নদীকে নিয়ে লিখা কবিতা- আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়–। জীবনানন্দের মাতা কুসুমকুমারী দাশ, তিনিও কবিতা লিখতেন। তাঁর সুপরিচিত কবিতা আদর্শ ছেলে (আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড়ো হবে) আজও শিশুশ্রেণির পাঠ্য। জীবনানন্দ দাশ (স্থানীয় শত উর্ধ্বে বয়সী মানুষের ভাষ্যনুযায়ী) ১৯০১ ইং খ্রীস্টাব্দে মাতৃলয় থেকে বাবা মায়ের সাথে বরিশাল চলে যায় এবং বরিশাল ব্রজমোহন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, বি এম কলেজ থেকে আই এ এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বি.এ ও ইংরেজিতে এম.এ পাস করেন। আইন কলেজে ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি পরীক্ষা দেননি। জীবনানন্দ কলকাতা সিটি কলেজে ১৯২২ সালে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা শুরু করেন, ১৯২৯ সালে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাগেরহাট প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে যোগ দেন, কিন্তু কিছুদিন পর চাকরি ছেড়ে কলকাতায় চলে যান।

জীবনানন্দের কাব্যচর্চার শুরু অল্পবয়স থেকেই। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম। জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী। রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থে যেভাবে আবহমান বাংলার চিত্ররূপ সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ হিসেবে খ্যাত হয়েছেন। বুদ্ধদেব বসু তাঁকে ‘নির্জনতম কবি’ এবং অন্নদাশঙ্কর রায় ‘শুদ্ধতম কবি’ অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন।

জীবনানন্দ দাশ ছিলেন একজন কালসচেতন ও ইতিহাসচেতন কবি। বিখ্যাত গ্রন্থগুলো: ঝরা পালক , ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা , রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা। তিনি ২১টি উপন্যাস এবং ১২৬টি ছোটগল্প রচনা করেছিলেন। সাহিত্য কর্মের জন্য কবি জীবনানন্দ দাশ রবীন্দ্র-স্মৃতি পুরস্কার ১৯৫২সালে, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ১৯৫৪ পান। জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালে কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হন, পরে ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ ইং খ্রীস্টাব্দে মারা যান।

আরও পড়ুন-

গলাচিপায় ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার জালনোটসহ এক যুবক গ্রেফতার

স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ

ইজিবাইক ও মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-১

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে অটোরিকশা ছিনতাইকালে পুলিশ সদস্য আটক

দশ টাকার জন্য দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা